"Journey to DUET !! "

ডুয়েট এডমিশন এবং চান্স পাওয়া নিয়ে দুটা পোস্ট করার পর অনেকেই ইনবক্সে অনেক কিছু জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছেন। হয়তো সবার মেসেজ দেখিনি বা পরে দেখে আর কিছু বলিনি, যাদের মেসেজ দেখছি তাদেরকে রিপ্লাই, সমাধান ও সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবুও আপনাদের সকলের সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর আজ দিয়ে যাবো।

Images: Journey to DUET.
ডুয়েট এর জন্য ভর্তি কোচিং নিয়ে যারা বিভিন্ন কনফিউশন কনফিউশন নামক রোগে ভুগছেন, তারা ছাড়াও এই লেখা, প্রশ্নোত্তর এবং পরামর্শ গুলো পলিটেকনিকের সকল বর্ষের সকল পর্বের ছাত্র-ছাত্রী সবার জন্য।

-প্রথমেই কনফিউশনে থাকা ডুয়েট ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। অনেকেই প্রশ্ন করেন-
১) একটা বছর কোচিং করে যদি চান্স না পাই, তাহলে ??
👉উত্তরঃ জ্বী, খুবই যুগোপযোগী একটা প্রশ্ন !! কারন অধিকাংশ প্রতিযোগীই চান্স পাবে না, কিন্তু আপনাদের কাছে আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখছি, কোচিং না করে এই এক বছরে আপনি এমন কি করতে পারবেন??জোরে গেলে (১০-২০)কে স্যালারীর, বড়জোর হলে ৫০কে+ স্যালারীর একটা জব, এইতো ??
কিন্তু আপনাদের যেসব বড় ভাইয়েরা গত সেশনে গ্র্যাজুয়েশান কমপ্লিট করেছেন তাদের কতজন এখন মানসম্মত কোন জব করতে পারছে, এই খবর রাখছেন ক?? যদি আপনি চান্স না ও পান, তবুও প্রায় একটা বছরের কোচিং একেবারে বি ফলে যাবে না। যেকোন প্রতিযোগিতা মূলক চাকুরীর বাজারে আপনি এগিয়ে থাকবেন অন্যদের চেয়ে দ্বিগুন ভাবে !! ট্রাস্ট মি...
২) ডুয়েট এ আমার পড়ুয়া টেকনোলজির কোন B.Sc নেই, আমাকে এমই, আপিই, ইইই বা রিলেটেড ডিপার্টমেন্টের জন্য কোচিং করতে হবে, এতে কোন সমস্যা হবে না ??
👉উত্তরঃ ডিপ্লোমার আপনার টেকনোলজির সর্বোচ্চ CGPA ধারীকে প্রথম সেমিষ্টারের বই থেকে একটা প্রশ্ন করুন, দেখেন তিনি উত্তর দিতে পারে কিনা !! আসলে কি পড়ে আসছি, কি পড়তে হবে এটা কোন ব্যাপার না, বরং কোচিং এর সময়টাকে আপনি কতটা কাজে লাগাতে পারবেন সেটাই মূল কথা !! মাথায় রাখবেন যে, বর্তমান সময়টাই মূল্যবান, আর তাৎক্ষণিক চেষ্টায় অনেক কিছুই সম্ভব।
৩) অমুক ভাই এত্তো লেখাপড়া করছে, একবছরে এত্তো গুলা কলম, দিস্তায় দিস্তায় খাতা শেষ করছে,কত নোট করছে, কত চেষ্টা করছে। সেই ভাই সেকেন্ড টাইম ট্রাই করে ও চান্স পায়নি, তমুক ভাই তিনবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি !! আমি কি করে পাবো ??
👉উত্তরঃ আপনাকে বলছি-" সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা,আশা তার একমাত্র ভেলা !!" সো এতো হতাশ না হয়ে আশাবাদী হোন। বরং তাদের কে দেখুন যারা শুধুমাত্র শর্ট কোর্স করেই চান্স পেয়েছে, আর তাদের সংখ্যা ও কম না !! ডুয়েট এ ৪০% স্টুডেন্ট শর্ট কোর্স থেকেই চান্স পায়। আর হ্যাঁ, মনে রাখবেন জগতে আশাবাদীরাই জয়ী হয় !! আপনার চেষ্টার সর্বশেষটুকু দিয়েও আপনি চালিয়ে যান, এরপরেও না হলে মনে করবেন আপনার ভাগ্য সহায় হয়নি।
৪) আমার ডিপ্লোমার CGPA এবং এসএসসি'র GPA তেমন ভালো না, এটা আমার চান্স পাবার পথে কি কোন প্রতিবন্ধকতা কিংবা কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে কি ??
👉উত্তরঃ নাহ্, একদমই না !! কারন গতানুগুতিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মত ডুয়েট কোন শিক্ষার্থীকে তার CGPA দিয়ে বিচার করে নাহ, শুধু মাত্র এ্যাডমিশন টেস্ট এর রেজাল্টের ভিত্তিতেই ভর্তি করিয়ে থাকে। যদি CGPA এর উপর কোন নম্বর নির্ধারিত থাকতো তাহলে অনেক নিন্মমানের ইন্সটিটিউটের ছাত্ররাও এগিয়ে থাকতো, কারণ তারাই প্রাক্টিক্যাল ও কন্টিনিউয়াস এ্যাক্সেসে ভালো নম্বর পেয়ে থাকে !! আর এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাইভেট পলিটেকনিক গুল সবার চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে থাকতো !!
৫) আমিতো পলিটেকনিক লাইফে তেমন পড়ালেখা করিনি, সেটা কি এখন পুষিয়ে নিতে পারবো, আর এটা কি সম্ভব হবে??
👉উত্তরঃ আগে আপনি আমাকে একটি প্রশ্নের জবাব দিন তো ?? পরীক্ষার জন্য কয়দিন লেখাপড়া করছেন ?? ওয়ান নাইট প্রিপারেশনে কিংবা সামান্য প্রস্তুতিতেই যদি পলিটেকনিক লাইফটা শেষ করতে পারেন, তাও CGPA ৩.০০+ নিয়ে, তাহলে একটি বছর কঠোর সাধনা কি পারবে না আপনাকে ডুয়েট পর্যন্ত নিয়ে যেতে?? জ্বী, অবশ্যই এখানে আপনার পরিশ্রম, ডেডিকেশন, সাধনা করার মানসিকতাটাই হলো আসল কথা !!
৬) কোচিং করে এত্তো টাকা খরচ করেও যদি চান্স না পাই ??
👉উত্তরঃ আমার জানামতে ডুয়েট ভর্তি কোচিং খরচ খুব বেশী না, অন্যসব পাবলিক ভার্সিটির ভর্তি কোচিং ফি আরো বেশি। সেক্ষেত্রে ডুয়েট ভর্তি কোচিং ফি এবং কোচিং বডির সার্ভিস লক্ষ্য করলে এই ফি নেহাতেই সামান্য !! কিন্তু জানেনতো কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়, খরচটা আপনার গোল্লায় যাবে না।
এটাও নিশ্চয়ই জানেন যে- মূলধন ছাড়া কেউ ব্যাবসা করতে পারেনা। "মনে করেন এটা আপনার মূলধন, আর লাভ হবে ডুয়েট চান্স, সেটা নাহলে জ্ঞ্যানার্জন !!" আশা করি পলিটেকনিকে চার বছরে যা শিখেছেন তারচেয়ে কয়েক গুন শিখতে পারবেন কোচিং থেকে, আর সেটা আপনাকে PSC সহ যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে !! আবারো বলছি ট্রাস্ট মি...
৭) ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শেষ করেই কি কোচিং শুরু করবো, নাকি আগে থেকেই ??
👉উত্তরঃ হ্যাঁ, এটা একটা দারুন প্রশ্ন। তবে যারা একদমই কাজ জানেন না তাদের বলছি, দেখুন মাত্র তিন মাসের ট্রেনিং আপনাকে প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, ডেভেলপার, ডিজাইনার, রোবোটিকস বা কোন প্র্যাক্টিক্যাল কাজে এক্সপার্ট বানিয়ে দিবেনা। কোন কিছুতে এক্সপার্ট হওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ নিজের শেখার আগ্রহের কাছে, একটা জিনিসের পিছনে দিনের পর দিন, মাসের পর মাসে সময় ব্যায় করার মানসিকতার কাছে !!
সাড়ে তিন বছর যখন এক্সপার্ট হওয়ার জন্য তেমন কিছু করেননি (যারা করেছেন তারা Exceptional, তাদের প্রতি আমার Respect) এই ৩ মাস না করলেও চলবে। আর ডুয়েট কোচিং এ গেলে তারাই আপনার ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট এর ব্যবস্থা করে দিবে বা কিছু টাকা খরচ করে আপনি ট্রেনিং ও করতে পারবেন, তাই এখনই কোচিং শুরু করে এগিয়ে যেতে পারেন।
মনে রাখবেন আপনাকে উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলের পদার্থ, রসায়ন, গনিত ও ইংলিশ(গ্রামার) শেষ করতে হবে !! তবে যারা ট্রেনিং করতে আগ্রহী আপনাদেরকে না করতে পারিনা কিংবা করবো ও না, কারন এটারও গুরুত্ব আছে। তবে ডুয়েট'ই যাদের লক্ষ্য তাদের ট্রেনিং করে সময় নষ্ট করাটা বোকামী।
৮) আমি বেসরকারী ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী, অত নাম ডাক নেই আমার প্রতিষ্ঠানের। এটা কি কোন সমস্যা ??
👉উত্তরঃ জ্বী না, একদম না। ডুয়েট চায় মেধাবীদের, সেরাদের !! কে সরকারী বা কে বেসরকারী পলিটেকনিকের ছাত্র এখানে ঐসব কোন বিবেচ্য বিষয় না বা এই ধরনের বৈষম্য ও নেই। আপনার যোগ্যতা দিয়ে ২ ঘন্টায় ৩০০ নাম্বারের ভর্তি পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেই আপনি ভর্তি হবেন !! So, take it Easy...
৯) প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে B.Sc শুরু করলে সময় কম লাগবে, চাকরি ও করা যাবে, এটাই ভালো না ??
👉উত্তরঃ আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন ডুয়েট আর প্রাইভেট ভার্সিটির Evening Shift কি এক হলো ?? যদি এক না হয়, তাহলে এই প্রশ্ন করবেন না !! আর হ্যাঁ প্রাইভেটে পড়লে শুধু সময় কম না, আপনি একজন DUETian এর ৩ ভাগের একভাগ সময় পড়েও CGOA 3.50+ উঠাতে পারবেন।
একটা সত্য কথা বলি- প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে, এক-দুই বছর চাকরী করার পরেও জব সেক্টরে পলিটেকনিক এবং প্রাইভেট ভার্সিটির সার্টিফিকেট এর মূল্যায়ন দেখে কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার গাজীপুর এসে কোচিং করে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার নজির আছে !! তবুও বলে রাখি যে, প্রাইভেট ভার্সিটিকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই...
👉তবুও একটি কথা মনে রাখা উচিত যে- "Expert Less Certificate is Like as a Tissue Paper !!" সেই সার্টিফিকেট BUET, DUET, RUET...এর হোক অথবা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হোক !! মনে রাখবেন একজন দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার একজন অদক্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের চাইতেও মূল্যবান এবং দেশ ও বহির্বিশ্বের সম্পদ।
১০) আমার ৭ম পর্বে রেফার্ড থাকতে পারে কিংবা ভুলক্রমে যদি চলে আসে, সেক্ষেত্রে কোন সমস্যার সম্মুখীন হবো কি ??
👉উত্তরঃ রেফার্ড থাকতেই পারে, কিন্তু আপনি কি চান না অষ্টম পর্বেই সেই রেফার্ড কাটিয়ে উঠবেন?? অবশ্যই চান এবং আপনি সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ও বটে। যদি ৮ম পর্বে পরিপূরক পরীক্ষা দিয়ে কাটিয়ে উঠতে পারেন তাহলে তো আর কোন সমস্যাই থাকছে না।
-যারা এখন পলিটেকনিকে পড়ছেন তাদের কে সংক্ষেপে বলবো, এখন থেকেই ডিপার্টমেন্টাল সাবজেক্টের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থ, গনিত ও রসায়ন বই অধ্যায়ন শুরু করুন। আপনার ইন্সটিটিউটের যেসব বড় ভাইয়েরা ডুয়েট এ পড়ে বা ডুয়েট কোচিং করেছে তাদের সহযোগিতা নিন, প্রশ্ন পত্র সম্পর্কে ধারনা পেতে একটি ভর্তি গাইড সংগ্রহ করুন।
১১) আমার ফ্যামিলির অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোনা, শোচনীয়। মাসে কেমন খরচ হয় গাজীপুরে, কোচিং ফি কেমন লাগে?
👉উত্তরঃ গাজীপুরে কোচিং করতে আসলে কোচিং ফি লাগবে (১০-১৫)কে টাকা। তবে আপনার ডিপ্লোমার সিজিপিএ যদি ৩.৭৫+ হয়, তাহলে কোচিং বডি আপনাকে (৫০-৭৫)% ছাড় ও দিতে পারে। আবার কোচিং বডিকে যদি আপনার আর্থিক অবস্থার কথা একটু বুঝিয়ে বলতে পারেন কোন পরিচিত বড় ভাইয়ের মাধ্যমে, সেক্ষেত্রে ৫০% ও ছাড় দিতে পারে। তারপরে আসবে মাসিক খরচ, ডুয়েট এরিয়ায় মেসে একটা সিট (১২০০-২০০০) টাকা অব্ধি (টিনসেড থেকে শুরু করে ফ্লাট বাসা পর্যন্ত এবং লাইট, ফ্যান, চেয়ার, টেবিল, কট ও গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল সহ), আর মেসে মাসিক খাওয়া খরচ আসবে সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা, খাতা কলম বা শিট ফটোকপি খরচ সর্বোচ্চ (৩০০-৫০০) টাকা। এর বাহিরে আপনি হাত খরচ কত খরচ করবেন সেটা আপনিই জানেন। অর্থাৎ মাসিক খরচ ৫কে এর মধ্যে আপনি সাচ্ছন্দ্যে চলতে পারবেন।
-এবার জেনে নেই ডুয়েট এ ভর্তি পরীক্ষার কিছু নিয়মাবলীঃ
👉পলিটেকনিক এর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে পাশ করে কে, কোন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেনঃ
১) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং - সিভিল, সার্ভেয়িং, আর্কিটেকচার ও এনভায়রনমেন্টাল (নির্ধারিত ঐচ্ছিক বিষয়সমূহ পাশ সহ), সিভিল উড (উড স্পেশালাইজেশন) ও কনস্ট্রাকশন টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
২) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং - ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স, ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল, টেলিকমিউনিকেশন ও ইলেক্ট্রো-মেডিক্যাল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
৩) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং - মেকানিক্যাল, পাওয়ার, কেমিক্যাল, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং, অটোমোবাইল, ফুড, মেকাট্রনিক্স, শিপ বিল্ডিং, মেরিন ও মাইনিং এন্ড মাইন সার্ভ টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
৪) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং - কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, ঢাকা টেলিকমিউনিকেশন এন্ড নেটওয়ার্কিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও প্রিন্টিং টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
৫) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং - টেক্সটাইল, জুট ও গার্মেন্টস এন্ড প্যাটার্ন মেকিং টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
৬) বিএসসি ইন আর্কিটেকচার - আর্কিটেকচার ও আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
৭) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং - মেকানিক্যাল, পাওয়ার, কেমিক্যাল, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং, অটোমোবাইল, ফুড, মেকাট্রনিক্স, শিপ বিল্ডিং, মেরিন ও মাইনিং এন্ড মাইন সার্ভ টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা।
৮) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং - ফুড, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, কেমিক্যাল, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং, ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ও ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার।
👉ভর্তির আসন সংখ্যা ও প্রার্থী বাছাইয়ের নিয়মঃ
ডুয়েট এ ৩০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয় যার মধ্যে ১৫০ ডিপার্টমেন্ট (টেক) আর ১৫০ ননটেক (ফিজিক্স-৪০, কেমিস্ট্রি-৪০, ম্যাথ-৪০ এবং ইংলিশ-৩০) !! ডিপার্টমেন্ট এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট সাব্জেক্ট গুরুত্বপূর্ণ, বড় ভাইদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে সেই বিষয় গুলোর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আর ৩০০ নাম্বারের পরীক্ষায় (২০-২৫)% নাম্বার থাকবে MCQ এবং MCQ এর ভুল উত্তরের জন্য কোন নাম্বার কর্তন করা হয়না।
পরীক্ষা প্রথম হবে ননটেকের (সময় এক ঘন্টা), তারপরে হবে ডিপার্টমেন্ট এর (সময় এক ঘন্টা)। নন ও টেক উভয়ের জন্য পৃথক পৃথক খাতা দেওয়া হবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের জন্য খাতায় নির্ধারিত জায়গা বরাদ্দ থাকবে, কোন ভাবে যদি কোন প্রশ্নের উত্তর একবার ভুল করেন, তাহলে কেটে দিবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঐ প্রশ্ন পরে কোথায় লিখবেন?? পরে লিখবেন- খাতার শেষে সাদা ২ পৃষ্ঠা দেওয়া থাকে রাফ করার জন্য, কেটে দেওয়া প্রশ্নের নাম্বার লিখে সেখানে প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন।
👉এই প্যারাটা মাথায় রাখবেন- মনে রাখবেন যে, চান্স পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে নন ডিপার্টমেন্টে পাশ করতে হবে (পাশ মার্ক ৪০%)। নন ডিপার্টমেন্টে পাশ না করলে আপনার ডিপার্টমেন্টের খাতাটা দেখাই হবেনা, হোক আপনি ডিপার্টমেন্টে ১৫০ নাম্বারে ১৪৫ অর্জন করেন। আবার ১ম ও ২য় পত্রে পৃথক পৃথকভাবে শতকরা পঁয়ত্রিশ (৩৫%) নম্বরের কম পাইলে ভর্তির অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হবে৷
পরবর্তীতে কেবলমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রাপ্ত মোট নম্বরের মেধা ভিত্তিতে আসন পূরণ করা হবে৷
👉উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিটিতে ১২০ (একশত বিশ), টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিটিতে ৬০ (ষাট) এবং বিএসসি ইন আর্কিটেকচার, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিটিতে ৩০ (ত্রিশ) টি নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য প্রার্থী বাছাই করা হবে৷
👉একাধিক প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় একই নম্বর পাইলে সেই ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় ১ম পত্রে প্রাপ্ত নম্বরের
ভিত্তিতে প্রার্থীদের মেধাস্থান নির্ধারণ করা হইবে৷ প্রথম পত্রের প্রাপ্ত নম্বরও সমান হইলে যথাক্রমে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাস্থান নির্ধারণ করা হবে৷
👉এবার দেখুন আসন সংরক্ষণঃ
ক) উপজাতিদের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিটিতে নির্ধারিত ১২০টি
আসনের অতিরিক্ত ০২ (দুই) টি করে, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নির্ধারিত ৬০টি আসনের অতিরিক্ত ০১ (এক) টি করে মোট ০১টি আসন এবং
আর্কিটেকচার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নির্ধারিত ৩০ টি আসনের অতিরিক্ত ০১ (এক) টি করে আসন সংরক্ষিত থাকবে৷
👉মুক্তিযোদ্ধার (Freedom Fighter) সন্তান/নাতি- নাতনিদের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতি বিভাগে , কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ০২ (দুই) টি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন আর্কিটেকচার ও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতি বিভাগে ১ টি করে আসন সংরক্ষিত থাকবে৷
👉পরিশেষে বলবো, ডুয়েট উপমহাদেশের মধ্যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চশিক্ষার একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় !! দীর্ঘ আট বছর ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ফলে দেশ ও বিদেশসহ সর্বক্ষেত্রেই ডুয়েট এর শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান। তবে ডুয়েটকে বাঁকা চোখে দেখা কুচক্রী মহলের ও কিন্তু অভাব নেই, এর একমাত্র কারন ডুয়েটিয়ানদের ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ড। তবুও এসবের থোড়াই করেনা কোন ডুয়েটিয়ান, ছুটে চলে অদম্য গতিতে, সাফল্যের আশায় সর্বাত্মক চেষ্টা যার ইচ্ছায়। আপনাদের ডুয়েটের পদযাত্রা শুভ হোক। আপনার সিদ্বান্তকে অবশ্যই স্বাগত জানাই..
👉মনে রাখবেন -
"Life is Your, So the Decision to You Need to take and A Decision Can Change Your Life !!"

Thanks All
Saifulläh Amïn
CSE 14th Batch, DUET.

3 comments:

  1. ভাইয়া,আমি গ্ৰ্যাফিক্স ডিজাইন বিভাগে পড়ি।ডিপার্টমেন্ট এর ১৫০ মাক্‍‍‌‌ এ কি ধরনের প্রশ্ন করা হবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. নাহ। আপনি সিএসই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে পারবেন.. সেই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে...

      Delete
  2. Lucky Club: The most reputable online casino site in the UK
    Lucky Club is a great place for you to play casino games for fun, Lucky Club is a reputable online casino for the UK. luckyclub

    ReplyDelete

Powered by Blogger.